বাংলাদেশের বাণিজ্যের জন্য ভারতের মাটি ব্যবহারের উপর নতুন বিধিনিষেধ আরোপ
নয়াদিল্লি, ৯ এপ্রিল।। বাংলাদেশকে বাণিজ্যিক পণ্য আমদানি রপ্তানির জন্য ভারতের মাটি ব্যাবহারে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি ভারত সরকারের। বাংলাদেশ তৃতীয় কোনও দেশে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি করতে ব্যবহার করা যাবে না ভারতের কোনও বন্দর বা বিমানবন্দর। সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আঞ্চলিক বাণিজ্যের গতিশীলতা পুনর্গঠন করতে পারে এমন একটি সাম্প্রতিক পদক্ষেপে, ভারত সরকার বাংলাদেশে বাণিজ্যিক পণ্য আমদানি ও রপ্তানির জন্য তার ভূখণ্ড ব্যবহারের উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
সরকারি সূত্র অনুসারে, ভারতীয় বন্দর এবং বিমানবন্দরগুলি আর কোনও তৃতীয় দেশে বাংলাদেশী পণ্য পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক গৃহীত এই সিদ্ধান্তের লক্ষ্য হল ভারতীয় অবকাঠামোর সাথে জড়িত আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য কার্যক্রমের উপর নিয়ন্ত্রণ জোরদার করা।
মঙ্গলবার এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় অপ্রত্যক্ষ কর পর্ষদ (সিবিআইসি) এর ওই বিজ্ঞপ্তিতে রপ্তানি ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে দেওয়া এই সুবিধা প্রত্যাহারর কথা জানানাে হয়ছে সংবাদ মাধ্যমে । এর ফলে ভারতীয় ভুখণ্ডের কোনও বন্দর এবং বিমানবন্দরের শুল্কঅফিস ব্যবহার করে তৃতীয় কোনও দেশে পণ্য রপ্তানি করত পারবে না বাংলাদেশ।
বিশেষ সংবাদ সুত্রে জানা গেছে, পড়শি দেশকে এই সুবিধা দেওয়া বন্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা জারি করার জন্য কেন্দ্রকে অনুরােধ করা হয়েছিল ভারতীয় বস্ত্র রপ্তানিকারকরা এবং সংস্থাগুলি। ২০২০ সালের জুন মাস থেকে এই সুবিধা ভোগ করছিল বাংলাদেশ। ভারতীয় রপ্তানিকারকরা সরকারকে দাবি জানিয়েছে যে ভারত থেকে বাংলাদেশকে এই সুবিধা প্রদানের কারণে বিমান এবং ট্রান্সফোর্ট খরচা অনেক গুন্ বেড়েছে সংস্থাগুলির দাবি। বিশেষ করে বস্ত্র রপ্তানির সুযোগ দিয়ে আসছিল ভারত।
পূর্বে, অন্যান্য দেশে পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশের কিছু ভারতীয় বন্দর এবং বিমানবন্দরে প্রবেশাধিকার ছিল, যা মসৃণ সরবরাহ এবং বাণিজ্যের সুযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছিল। তবে, নতুন নির্দেশের অধীনে, এই রুটটি আর কার্যকর নয়, সম্ভাব্যভাবে এই চ্যানেলের উপর নির্ভরশীল ব্যবসা এবং রপ্তানিকারকদের উপর প্রভাব ফেলবে।
মুলত ভূটান,নে পাল, মায়ানমারে ,থাইল্যান্ডর ভারতীয় রপ্তানিকারক সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে জানা যায় পণ্য রপ্তানির জন্য এই সুবিধা ব্যবহার করতাে বাংলাদেশ।
৮ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তিতে তা বলা হয়েছে, এই সংঘঠনের পর্ববর্তী নির্দেশিকা অবিলন্বে প্রত্যাহার করা হচ্ছে । তবে যে সব পণ্য ইতিমধ্যে ভারতে প্রবেশ করেছে, সেগুলিকে পুর্বের নির্দেশিকা অনুসারে ভারত থেকে বেরোতে দেওয়া হবে। আমেরিকার ঘটনা ক্রমে শিল্পনীতি ঘিরে যথন গোেটা বিশ্ব বাণিজোে আলোেড়ন পড়ে গিয়েছে, ঠিক সেই সময় ভারত হয়ে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির বিষয়ে এই সিদ্ধান্তনিলো নয়াদিল্লি। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, এই সিদ্ধাস্তের ফলে বস্ত্র, জুতা, মুল্যবান পাথর এবং গহনার ক্ষেত্র ভারতীয় রপ্তানিকারক সংস্থা গুলির লাভবান হবে বলে মনে করা হয়েছে। বস্তত, বস্ত্র রপ্তানির প্রথম প্রতিদ্বন্দী হল বাংলাদেশ।
যদিও সরকার হঠাৎ এই নিষেধাজ্ঞার পিছনে কোনও বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রকাশ করেনি, বিশ্লেষকরা বিশ্বাস করেন যে এটি বৃহত্তর জাতীয় নিরাপত্তা বিবেচনা বা বাণিজ্য নীতিগুলিকে সুগম করার প্রচেষ্টার সাথে যুক্ত হতে পারে। এই পদক্ষেপটি প্রতিবেশী দেশগুলি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য তার অবকাঠামো কীভাবে ব্যবহার করছে সে সম্পর্কে ভারতের নিয়ন্ত্রক তদারকি জোরদার করার দিকেও একটি পদক্ষেপ হতে পারে।
ভারতীয় ফেড়ারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশন (এফ আইইও)-এর মহাপরিচালক অজয় সাহায় বলেন, এর ফলে ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের জন্য বিমানে আরও বেশি জায়গা পাওয়া যাবে।
অতীতে রপ্তানিকারক সংস্থাগুলি প্রায়শই অভিযোগ করতাে, বাংলাদেশ পাণ্যের জন্য তারা কম জায়গা পাচ্ছে। বাংলাদেশকে এই সুবিধা দেওয়া বন্ধ করার জন্য অতীতে মন্ত্রকে অনুরোধ কারেছিল বস্ত্র রপ্তানি সংস্থাওুলির সংগঠন আপারল এক্সাপার্ট প্রােমােশন কাউন্সিল। সংগঠনের সভাপতি সুধীর সেখরির মন্তব্য, প্রতিদিনই ২০-৩০টি (বাংলাদেশি) পণ্যবােঝাই ট্রাক দিল্লিতে আসে। এর ফলে প্রক্রিয়া কিছুটা শ্লথ হয়ে যায় এবং উড়ান সংস্থাগুলিও এর সুবিধা নেয়। কখনও কথনও পণ্য রপ্তানির জন্য বিমানের ভাড়াও বদ্ধি পেয়ে যায় বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশের বাণিজ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা রয়েছে এবং দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সংলাপের সূত্রপাত হতে পারে। উভয় দেশের অংশীদাররা এখন নীতিটি কীভাবে উদ্ভূত হয় এবং এই পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে কোন বিকল্পগুলি উদ্ভূত হয় তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন।
Post a Comment