সব জল্পনা কল্পনার অবসান : টিপরামথা যোগ দিচ্ছেন বিজেপি মন্ত্রী সভায়
আগরতলা, ৯ মার্চ।। সব জন্পনার অবসান ঘটলাে। বি্জেপি মন্ত্রিসভা গঠনের ঠিক এক বছরের মাথায় শামিল হতে চলছে তিপরা মথা। ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন জানিয় রাজভবনে পাঠানোে হয়েছে চিঠি। মথার দুইজন বিধায়ক শপথ গ্রহণ করবেন মন্ত্রী হিসেবে। তারা হলেন। অনিমেষ দেববর্মা এবং বৃষকেতু দেববর্মা। মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা বেড়ে হবে ১১। বিজেপি, আইপিএফটি এবং তিপরা মথার জোট সরকারের দিন চলা শুর হবে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা
আগেই শপথগ্রহণ পর্ব শেষ করে নিজেদের কার্যালয় বুঝে নেবেন মথার দুই হবু মন্ত্রী। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই রাজভবন এবং মহাকরণে যাবতীয় প্রত্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেছে। নতুন মন্ত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট কক্ষেরও ব্যবস্থা হয়েছে । লেগে গেছে নেম প্লেট্। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এ বিষয়ে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরীকে প্রশ্নে করা হলে তিনি জানান, আামন্ত্রণপত্র পেলে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার বিষয়টি ভবে দেখা হবে।এর আগে ৮:৩০ শে বিরোধী দলনেতা হিসেবে নিজের ত্যাগপত্র রাজাপালের কাছে জমা দেবেন অনিমেষ দেববর্ম। ৯:৩০টায় দুজনই রাজভবনে শপথ গ্রহণ করবেন। রাজ্যপাল ইন্ত্রসেনা রেজিড নাল্মু তঁদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তিপরা মথার বিজেপি সরকারে যোগদান নিয়ে নানা জল্পনা গত এক বছর বছর ধরেই চলছিল। যদিও এটা যে হওয়ার ছিল তা বলাই বাহুল্য। আগামীকালই মালদা যাবেন মুখ্যমস্ত্রী ডা. মানিক সাহা।
তিপরা মথার দুই সদস্যকে কোন কোন দপ্তর দেওয়া হবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা না গেলেও জনজাতি কল্যাণ দপ্তর, ভূমি রাজস্ব দপ্তর, বন দপ্তর, গ্রামােন্নয়ন দপ্তর ইত্যাদি তিপরা মথার দুই মন্ত্রীকে দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। বুধবার দিনভর বৈঠক হয় মথা নেতৃত্বের। বৈঠকে স্থির হয়েছে তিপরা মথা মন্ত্রিসভায় যোেগ দেবে। মথার সুপ্রিমাে প্রদ্যোাত কিশাের সম্মতি দিয়েছেন। অবশ্য মঙ্গলবার তিপরা মথার রাজ্য নেতুত্বের সাথে। প্রদ্যোতের বৈঠকে এ বিষয়টি প্রাধান্য পায়। এডিসির চেয়ারম্যান জগদীশ দেব্বর্মাও স্বীকার করেছেন মথার দুজন বিধায়ক মন্ত্রী হচ্ছেন। তব বিজেপির তরফেও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি। বুধবার সামাজিক মাধ্যমের ব্রেকিং নিউজ ছিল মথার মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার বিষয়টি। তবে মথা যে মন্ত্রিসভায় যোগ দিচ্ছে তা আগেই প্রচার ছিল। এতদিন চলছিল টানাপােড়েন। আশিসসাহা এবং সুদীপ রায় বর্মনের সাথে যােগাযােগ করেও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বুধবার দিনভর বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণকে ঘিরে নানা ওুঞ্জন শােনা গেছে। তবে আপাতত তিপরা মথার দুইজন ছাড়া কোনও রদবদল হবে না বলে খবর। উল্লেখ্য, ত্রিপুরার বিধায়ক সংখ্যার নিরিখে সর্বাচ্চ ১২ জন মন্ী তাতে পারেন। মথার দুইজন যুক্ত হলে ১১ জন হবে বর্তমান মন্ত্রিভার সদস্য।
মথার প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যোত রাজি ছিলেন না। তার কারণ হল,মন্র্রিসভায় যােগ দিতে সরকারের পক্ষে আগেই বলা হয়েছিল। কিন্তু বেশিরভাগ বিধায়ক এমনকি বিরোধী দলনেতা রাজি ।
সাংবিধানিক অধিকারের বিষয়টি ফয়সলা না করে মন্ত্রিসভায় যােগ দিলে জনজাতিদের মধ্যে গ্রহণযােগ্যতা হারাবে মথা। এখন ত্রিপাক্ষিক চুক্তির নামে নাটিক মঞ্চস্থ হওয়ার পর মন্রিসভায় যােগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলো মথা। তবে যতদূর জানা গেছ, লােকসভা নির্বাচন ঘোষণার আগে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারনের সম্ভাবনা। দিল্লি থেকে বিমান বিভ্রাটের কারণে বুধবার রাজ্যে ফিরতে পারেননি প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মন। বৃহস্পতিবার ফিরছেন বলে খবর। মন্ত্রিসভায় তিনটি আসন শূণ্য। আবার রিপােঁর্ট কার্ডের ভিত্তিতে বাদ পড় তে পারেন একজন মন্ত্রী।
এক্ষেত্রে বিজেপি থেকে দুজনকে মন্ত্রিসভায় নেওয়া হতে পারে । তাত মহিলা কোন বিধায়কের মন্রীহওয়ার সম্ভাবনা। আবার মথা চাই ছে উপমুখ্যমন্রীর চেয়ার। বিজেপি শিবির আপাতত রাজি নয়। মথার দাবি হলে তাদের উপমুখ্যামন্ত্ী দেওয়া না হলে তিনজনকে মন্ত্রী করতে হবে নতুবা পূর্ব ত্রিপুরা আসনে তাদের প্রতিদন্দ্বিতা করার সুযােগ দিতে হবে। কিন্তু বিজেপি ইতিমধ্যেই সিদ্ধাত্ত নিয়ছে দুটি আসনেই পদ্দফুল চিহ্নে লড়াই করবে প্রাথীরা।ফলে মথাকে পূর্ব ত্রিপুরা আসন ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্ন নেই। আার তিপ্রা মথা থেক তিনজন মন্ত্রী হলে অনিমেষ ও বৃষকেতু দেববর্মার পাশাপাশি পল দাংগুর মন্ত্রী হওয়ার সভ্ভাবনা ছিল। কিন্তু এখন আপাতত পল দাংশুর সিকি ছিড়ছে না। ত্রিপাক্ষিক চুক্তির মধ্য দিয়ে স্পৃষ্ট্ হয় তিপ্রা মথাকে বােতল বন্দি করে নিয়েছে বিজেপি। এবার ধীরে ধীরে তা স্পষ্ট হচ্ছে।
Post a Comment